লুসি, আওয়াশ ভেলির সবুজ অরণ্যে দাঁড়াতে চেয়েছিলে তুমি সতীর্থদের ছাড়িয়ে;
সেই কবেকার কথা,
সুদূর বত্রিশ লক্ষ বছরের পদরেখা
এখন জালের মতো ছড়িয়েছে সমতল ও পাহাড়ে,
পৃথিবীর সকল ভূখণ্ডে।
কিন্তু দেখো, কী অবাক কাণ্ড। আজও
তোমার সন্তান মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে শেখেনি।
এখনও সে কুঁজো হয়ে হাঁটে,
লোভের প্রকাণ্ড বোঝা কিছুতেই ওকে
সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেয় না।
তোমার নিশ্চয়ই খুব জানার আগ্রহ,
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে সভ্যতার তুলি দিয়ে আঁকা
জিলিয়ন জিলয়ন রেখা
ওরা কি তাহলে হামাগুড়ি দিয়েই এঁকেছে?
সারা গায়ে হেদার গ্রামের কাদা নিয়ে
কী এক উত্তেজনায় তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়েছ,
অরণ্যের গভীরে ছড়িয়ে দিয়েছ হোমোসেপিয়েন্সের আগমনধ্বনি;
কেঁপে উঠেছিল সেদিন প্রাচীন আবিসিনিয়ার গোলাপী আকাশ,
মুহূর্মুহু বজ্রপাতে শাদা হয়ে উঠেছিল আওয়াশ ভেলির সবুজ বনাঞ্চল;
তোমার গভীর চোখ দুটি ছুঁড়ে দিয়েছিলে
বহুদূরের উজ্জ্বল এক সময়ের কাছে,
যখন আলোকোজ্জ্বল অ্যাভেনিউগুলোতে
মানুষ হাঁটবে মাথা উঁচু করে, সোজা রেখে তার মেরুদণ্ড।
অথচ মানুষ, তোমার বুকের দুধে বেড়ে ওঠা হোমোসেপিয়েন্স,
আজও সোজা হয়ে দাঁড়াতেই শিখলো না।