আমি কি দেখি নাই সময়ের পিঠে চড়ে সময়ের পরিবর্তন
পুরোনো পথ বিলীন হলো।এখন নতুন পীচঢালা পথ।
পুরোনো মানুষের বসত বাড়ি থেকে অচেনা চেহারা কথা কয়। হারিয়ে গেলো পুরোনো পথ। হারিয়ে গেলো পুরোনো গাছ। হারিয়ে গেলো খেলার মাঠ। হারিয়ে গেলো মায়াময় চেহারা। হারিয়ে গেলো নদীর পারের বাজার ও পালতোলা নৌকা। হারিয়ে গেলো বিকেলে খেলার মাঠে গ্রামীন খেলা।
আমার প্রিয় সুরমা নদীর কলতান। নদীর স্রোতের ঢেউ
গুনেছি আমরা সুখের ঢেউ,নদীর চর যেন মুগ্ধতার ঝিনুক,
নদীর চরে বদল হয় মন ঢেউয়ের মতো।মন উড়ে গাংচিল।
আজ আমার প্রাণনদী চতুর প্রহরায়। ওপারের সীমান্ত
প্রহরীদের হাতে বেদখল।
হেমন্তের রঙ বদলের মতো হারিয়ে গেলো স্মৃতির রোদ,
সকল ভালোবাসার স্মৃতিগন্ধা উজ্জ্বল স্রোতের গল্প।
অতীত জানালায় সময় স্রোতের ফাঁক খুলে দেখি বারুদের গন্ধে স্বপ্ন সরোবর সার্বভৌম মানচিত্র। সবুজ পতাকার ছাপ জলের ছায়ায় মুগ্ধতার ছবি।মনের আগুন স্মৃতি ৭১। খানা-খন্দক সাহসের সাহচর্য নয়নে আলোর মুক্তিযুদ্ধ। ঈদের সকালে আমার জন্মের মাটি মুক্ত হলো। চোখের সামনে কাপুরুষ পাকি সেনাদের বিষন্ন পলায়ন।
১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর বাতাসে আমাদের মুক্ত বাতাস। আমাদের নিজস্ব মুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস।
যদিও আজ মতের আলপথ।পরিবর্তনে কতো পথের বাঁক।
সময়ের সাথে মোনাফেকের সুবিধাবাদী কুটচালে হ্রেসাধ্বনি
তবুও অন্ধকার খুঁড়ে আলোর গাভীন বিজয় অমলিন।
শুধু বিজয় পতাকার দৃশ্য ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর গর্ব
পৃথিবীর দেশে দেশে মুক্তি সংগ্রামের হুইসেল।
[শিল্প-সাহিত্য সম্পাদনা: আশরাফ হাসান]