যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রততার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত স্থবিরতা ও জট নিরসনে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ৪ মাসে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭ শতাধিক কর্মচারি। করোনাকালীন যারা বাসা থেকে কাজ করতেন তাদের ফিল্ড অফিসে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এসব প্রক্রিয়ার ফলে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় প্রাণ ফিরে এসেছে। এদিকে, নতুন নিয়মে গ্রীনকার্ড প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে স্যোশাল সিকিউরিটি নম্বরও দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশি আমেরিকান একজন ইমিগ্রেশন এটর্নি আজকালকে বলেন, ইউএসসিআইএস (ইউএস সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জমানার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বলা যায়, ফুল সুইয়িংয়ে কাজ হচ্ছে। ম্যাটহাটানের ফেডারেল প্লাজা গত ৪ বছর ছিল মৃতপুরী। এখন সেখানে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। মানুষের আনাগোনা ও কর্ম তৎপরতা বেড়েছে। প্রতিদিন শতশত ইমিগ্র্যান্ট হাজির হচ্ছেন।
ফেডারেল প্লাজা থেকে অধিকাংশ ইমিগ্রেশন প্রত্যাশী অভিবাসীদের হাসিমুখে বের হয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প জমানায় এর বিপরীত চিত্র ছিল। জানা গেছে, গত এক মাসে শতাধিক বাংলাদেশির এসাইলাম, গ্রীনকার্ড ও সিটিজেনশীপ ইস্যুর বিষয় নিষ্পত্তি হয়েছে। ঢাকাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসও ইমিগ্র্যান্ট প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রসেস দ্রততার সাথে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে, ইউএসসিআইএস গত ৯ আগস্ট নতুন গ্রীনকার্ড আবেদনকারীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন আলাদাভাবে সোশাল সিকিউরিটির জন্য আবেদন করতে হবে না। শারীরিকভাবে আর সোশাল সিকিউরিটি অফিসে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। আবেদনকারী গ্রীনকার্ড আবেদনপত্রের সাথেই সোশাল সিকিউিরিটি নম্বরের জন্য আবেদন করতে পারবেন বা পুরাতন নম্বর রিপ্লেস করার অনুরোধ রাখতে পারবেন। ডাকযোগে সোশাল সিকিউরিটি কার্ড বাসার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
নির্বাচনকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাগজপত্রহীন ইমিগ্র্যান্টদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিলটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। গত মার্চে হাউজে তা ‘ড্রিম এন্ড প্রোমিজ অ্যাক্ট’ আকারে পাশ হলেও তা সিনেটে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়নি এখনও। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক শিবিওে হতাশা রয়েছে। সিনেটে বিলের পক্ষে ৬০ ভোট না থাকায় তা পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। তবে বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নেয়া হচ্ছে রিকনসাইলেশন প্রসেসকে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও এতে সায় রয়েছে। যার অর্থ বাজেট রিকনসাইলেশন বিল আকারে সিনেটে ‘ড্রিম এন্ড প্রোমিজ অ্যাক্ট’ পাঠালে তা সিম্পল মেজরিটি দিয়ে (৫০ ও ভাইস প্রেসিডেন্টের ভোট) পাশ করানো সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন ডেমোক্র্যাটদের ৫০ ভোট সলিডিফাই করা। সিনেট ও হাউজ উভয় কক্ষই এখন ছুটিতে রয়েছে। আগামী মাসে তারা ক্যাপিটল হিলে ফিরলে অগ্রগতির এ ক্ষেত্রে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।