যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্থায়ী বাসিন্দা বিদেশে গিয়ে এক বছরের কম সময় অবস্থান করার পর তাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হলে বন্দরের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে তার অ্যালিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিসিট কার্ড ‘গ্রিন কার্ড’ (ফরম আই-৫৫১) উপস্থাপন করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা হারিয়েছেন এবং আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে চান এমন সাবেক অভিবাসীকে অবশ্যই তা করতে হবে। এ জন্য অনুমোদিত অভিবাসন আবেদন বা রিটার্নিং রেসিডেন্ট মর্যাদার ভিত্তিতে পাওয়া নতুন অভিবাসন ভিসা দেখাতে হবে তাদেরকে। এ জন্য যেসব অপশন রয়েছে, তা হলো :
১. যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্বজন (স্বামী/স্ত্রী/বাবা-মা/সন্তান/সহোদর/সহোদরা) অথবা যুক্তরাষ্ট্রের চাকরিদাতা সাবেক ওই অভিবাসীর পক্ষে অভিবাসন আবেদন করতে পারেন। এ-সংক্রান্ত তথ্য যারা যে দেশ থেকে আসতে চান, সেই দেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটেই থাকবে। ঢাকার হলে ঢাকার ওয়েবসাইটে অন্যত্র অভিবাসী এবং কর্মসংস্থানভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২. ওই অভিবাসী রিটার্নিং রেসিডেন্ট মর্যাদার জন্যও আবেদন করতে পারেন। রিটার্নিং রেসিডেন্ট মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য করা আবেদনের সঙ্গে নানা তথ্যপ্রমাণ যুক্ত করতে হয়। সেগুলো হলো আবেদনকারীর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রমাণ; বিদেশে অবস্থান করার বিষয়টি প্রকৃতই আবেদনকারীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল তার প্রমাণ এবং আবেদনকারীর সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার অভিপ্রায় ছিল-এর প্রমাণ।
যেসব আবেদনকারী রিটার্নিং রেসিডেন্ট (এসবি-১) ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য পরিকল্পিত সফরের আগে তাদের যথেষ্ট সময় নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এসবি-১ আবেদনকারীকে সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ পেতে [email protected] ঠিকানায় ইমেইল করে অনুরোধ জানাতে হবে। আবেদনকারীকে এই ইমেইলে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্রও (যা তিনি কনস্যুলার কর্মকর্তাকে সাক্ষাৎকারের দিন দেখাতে চান) স্ক্যান করে পাঠাতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে দূতাবাসে হাজির হয়ে সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হবে।
রিটার্নিং রেসিডেন্ট ভিসার আবেদনের জন্য ১৮০ ডলার ফি পরিশোধ করতে হবে এবং ডিএস-১১৭ পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদনে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা সব সময় পরামর্শ দেন, যাদের গ্রিনকার্ড রয়েছে তাদের কখনোই ইউএসসিআইএসের অনুমতি ছাড়া এক বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা উচিত নয়। কারণ পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। এ ছাড়া যারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মেয়াদ সিটিজেনশিপ আবেদন করার জন্য গণনা করাতে চান, তাদেরকে অবশ্যই ছয় মাসের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা যাবে না। কেউ থাকলে সেই সময়টা সিটিজেনশিপের জন্য গণনা করা হবে না।
এদিকে কোভিডের সময়ে বা এর আগে যারা বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন, তাদের অনেকেই ফেরার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ এসেছেনও। যদিও এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা আসেনি, যারা এক বছরের বেশি সময় ছিলেন তারা ছাড় পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা এখনো আসেননি, তাদের প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ফিরে আসা উচিত।