ফারহানা ইলোরা হোসেন
কমিউনিটি নিউজ নেটওয়ার্ক চ্যানেল-৭৮৬'র নিয়মিত আয়োজন 'নিউইয়র্ক ডায়েরি'-তে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সংগীতশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারহানা ইলোরা হোসেন। আরজে আরিয়ানের সঞ্চালনায় বাংলা গান আর সংস্কৃতি নিয়ে নানা কথা বলেছেন তিনি।
আপনাকে স্বাগতম আজকের আয়োজনে।
আপনাকে ধন্যবাদ।আমাকে যুক্ত করার জন্য।
যুক্তরাষ্টে বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বাংলা গান শেখায় অনাগ্রহের কারণ কি?
আসলে ভাষা এখানে একটা বড় ফ্যাক্ট।ওরা এখানে যেহেতু ইংরেজি ভাষা শিখে বড় হচ্ছে, তাই বাংলা ভাষার গান অনেক ক্ষেত্রেই ওদের খুব একটা ভালো লাগে না।আমাদের উচিত বাংলা গানকে তুলে ধরা।এই প্রজন্মের মাঝে বাংলা গান আর বাংলা সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটা কিন্ত আমাদেরই করতে হবে।
গান কি আসলেই প্রতিবাদের ভাষা, ভালোবাসার ভাষা,মুক্তির ভাষা?
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেখেছেন গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের কত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলো।অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক অনাচার এর বিরুদ্ধে কথা বলার ভাষাও কিন্তু গান। আপনি জানেন ভূপেন হাজারিকা কিংবা নচিকেতা সামাজিক ও রাষ্টীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচুর গান গেয়েছেন।আবার দেশ প্রেমমূলক প্রচুর গান গেয়েছেন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীরা।প্রেমের বা ভালোবাসার গানের তো অভাবই নেই।
যারা গান শিখতে চায় তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
আসলে গান তো একটা সাধনার বিষয়।আর প্রচুর চর্চার বিষয়। গান যারা শিখতে চান,তাদের ডেডিকেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গানকে অন্তর দিয়ে ধারণ করতে হবে। প্রতিনিয়ত রেওয়াজ করতে হবে তো অবশ্যই। আর প্রচুর গান শুনতে হবে। যারা একদম শুরু থেকে আরম্ভ করতে চান তাদের বেসিক থেকে কাজ করা উচিত।
কিভাবে প্রবাসে বাংলা গান-ভাষা-সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়া যায়?
আমরা যারা ফাস্ট জেনারেশন, এই দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। আমরা পারিবারিকভাবে যদি আমাদের সন্তানদের মাঝে বাংলা সংস্কৃতি তুলে ধরতে না পারি, এই দায়ভার কিন্তু আমাদের।আমাদের দেশ-জাতি আর সংস্কৃতি নিয়ে ওদের সাথে আলোচনা করতে হবে,শোনাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
এফএম-৭৮৬ এখন চ্যানেল ৭৮৬। আমাদের উদ্দ্যেশে কিছু বলার আছে?
আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।ক্রমেই আপনারা বাংলাদেশি কমিউনিটিদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। আমি আপনাদের দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া আর সাফল্য কামনা করছি।