জেএমসির সেক্রেটারি মনজুর চৌধুরী
নিউইয়র্কের অন্যতম বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের (জেএমসি) উদ্যোগে। প্রতিবারের মতো এবারও সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে টমাস এডিসন হাইস্কুল মাঠে। বৃষ্টি হলে থাকছে বিকল্প ব্যবস্থা। চ্যানেল ৭৮৬ এর মুখোমুখি হয়ে প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন জেএমসির সেক্রেটারি মনজুর চৌধুরী। বলেছেন- সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা, নারীদের নামাজের ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে। সঙ্গে ছিলেন- সাইদ রহমান
এবার ঈদুল আজহার কয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে?
একটি। টমাস এডিসন হাইস্কুলের বিশাল খোলা মাঠে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই একাধিক জামাতের প্রয়োজন হয় না। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। জামাত শুরু হবে সকাল ৮টায়। তবে, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে মসজিদের ভেতর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে লাগাতার কয়েকটা জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সংখ্যাটা কত, তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। এক কথায়, মাঠের বিকল্প হিসেবে উপস্থিত সবার নামাজ পড়তে যতগুলো জামাত প্রয়োজন, ততগুলোই হবে।
জামাতে অংশ নিতে নারীদের জন্য কী ব্যবস্থা?
নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে পুরুষদের পেছনেই আলাদা চিহ্নিত জায়গায় নারীরা ঈদুল আজহার নামাজের জামাতে অংশ নেবেন। যদি বৃষ্টির কারণে মসজিদের ভেতর নামাজ আদায় করতে হয় তাহলে তাদের জন্য থাকছে আলাদা ফ্লোর।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার
সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা কেমন?
আলহামদুলিল্লাহ। এখন পর্যন্ত যে সিকিউরিটির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেটা যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। এখানে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কিছু নেই। এনওয়াইপিডিসহ সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমাদের একাধিকবার কথা হয়েছে। মাঠের চারদিকটা সম্পূর্ণ ক্লোজ করে দেওয়া হবে। আশপাশের ট্রাফিক বন্ধ থাকবে। সকাল ৫টা থেকেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মাঠের চারপাশে অবস্থান নেবেন।
নামাজ কে পড়াবেন?
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পেশ ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ নামাজ পড়াবেন। খুৎবা দেবেন ইমাম শামশি আলী। বৃষ্টির কারণে যদি মসজিদের ভেতর একাধিক জামাত আয়োজন করতে হয়, সেক্ষেত্রে আরও কয়েকজন ইমামের সঙ্গে আমরা কথা বলে রেখেছি। তখন তারা নামাজ পড়াবেন।
মির্জা আবু জাফর বেগ
কত লোকের জন্য এই ঈদের জামাতের আয়োজন?
মোটামুটি ১০ হাজার মানুষের জন্য এই আয়োজন। এটা ১৪-১৫ হাজারের কাছাকাছিও চলে যেতে পারে। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে। নিউইয়র্কের অন্যতম বড় ঈদের জামাত বলা হয় এটাকে। গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ১২ হাজার মানুষ জামাতে অংশ নিয়েছিলেন। এবার প্যান্ডেমিক পরিস্থিতি আরও ভালো হওয়ায় সেই সংখ্যাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
করোনা রোধে কী কী বিধিনিষেধ মানতে হবে?
নিউইয়র্কসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিই এখন অনেক ভালো। আগের মতো সেই কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে না। তবে শিথিল বিধিনিষেধের মধ্যেও একটি বিষয় আমরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি, সেটা হলো- মাস্ক পরতেই হবে। জামাতে যেন মাস্ক ছাড়া কেউ অংশ নিতে না পারে সেজন্য মাঠের প্রবেশ দ্বারের আগে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।