ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার ত্বকে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত টিস্যুগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর। খবর রয়টার্সের।
৩ মার্চ (শুক্রবার) এক চিঠিতে কেভিন বলেছেন, বাইডেনের ত্বকে ক্যানসার আক্রান্ত সব টিস্যু সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তার আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, যদিও ক্ষত সেরে গেছে, তবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার চলমান স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে চর্মরোগ সংক্রান্ত সতর্কতা অব্যাহত রাখবেন।
বাইডেনের বয়স বর্তমানে ৮০ বছর। গত মাসে শারীরিক পরীক্ষার চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ এবং ‘দায়িত্বপালনের উপযুক্ত’ ঘোষণা করেছিলেন। তারা সে সময় বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের বুক থেকে একটি ছোট ক্ষত সরিয়ে বায়োপসির জন্য পাঠানো হয়েছে।
ও’কনর চিঠিতে বলেছেন, বাইডেনের ত্বকে যে ধরনের ক্যানসার (বেসাল সেল কারসিনোমা) শনাক্ত হয়েছে, সেটি ছড়িয়ে পড়া বা মেটাস্ট্যাসাইজের আশঙ্কা খুবই কম।
গত ফেব্রুয়ারিতে মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা কাটান বাইডেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটি তার দ্বিতীয় দীর্ঘ মেডিকেল সেশন ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ত্বকের ক্যানসারের সবচেয়ে পরিচিত দুটি রূপ বেসাল এবং স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা।
স্কিন ক্যানসার ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, প্রতি বছর ৩৬ লাখ মার্কিন নাগরিকদের দেহে এ ধরনের ক্যানসার শনাক্ত হয়। এটি ধীর গতিতে বাড়ে, নিরাময়যোগ্য এবং প্রাথমিকভাবে চিকিত্সায় বড় ক্ষতি আটকানো সম্ভব। তবে এর কারণে ত্বকের বিকৃতি এবং চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে বলে জানিয়েছে সিডিসি।
বিবিসির খবর অনুসারে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও বাইডেনের শরীর থেকে একাধিক নন-মেলানোমা স্কিন ক্যানসার অপসারণ করা হয়েছিল।
বাইডেনের মতো তার স্ত্রী জিল বাইডেনও ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত জানুয়ারিতে মার্কিন ফার্স্ট লেডির শরীর থেকে তিনটি ক্ষত অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে দুটি নমুনায় বেসাল সেল কারাসিনোমা পাওয়া গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৪ সালে। এতে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন বাইডেন। এ কারণে তার স্বাস্থ্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বয়সে তিনি আবারও দলীয় প্রার্থী হওয়া ঠিক হবে কি না এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই বিতর্ক চলছে।