৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইন্টারফেইথ সেন্টার অব ইউএসএ এবং ইউএনএ-ইউএসএ কুইন্স চ্যাপ্টারের উদ্যোগে বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারফেইথ সেন্টার অব ইউএসএ-এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর উপস্থাপনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইয়োগা কমিউনিটি প্রেসিডেন্ট ড. দিলীপ কুমার গুরুজী।
তিনি বলেন, একটা দীর্ঘ জার্নির ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আজ এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। আমরা শুধু ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হইনি, সেই সঙ্গে মুক্ত হয়েছি দাসপ্রথা থেকে, নারীর পরাধীনতা থেকে, শ্রমিকের অবমূল্যায়ন থেকে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় গণতন্ত্রের সুতিকাঘার, সেই সাথে সমৃদ্ধি আর উন্নতিতে এটা বিশ্ববাসীর কাছে ড্রিম কান্ট্রি। তার প্রমাণ হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেশের মানুষ বাস করে এই যুক্তরাষ্ট্রে। এ নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিৎ এবং সেজন্য ফোর্থ জুলাই উদযাপন করতে হবে।
এএইচআরআই এর প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সারা পৃথিবীতে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে, সেটা আমেরিকার মানুষদের কল্যাণেই হয়েছে। এ দেশের মানুষের শ্রমে, ঘামে, রক্তে দেশ আজ উন্নতির শিখরে। আমরা সবাই মিলে দেশটিকে আরও উন্নততর করে তুলবো।
ইউএনএ-ইউএসএ কুইন্স চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ড. জন বলেন, বহু মত ও পথের মেলবন্ধন আমাদের যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ডাইভারসিটি প্রমাণ হয়। ১৭৭৬ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল, আজ আমরা সেই লক্ষ্যগুলোর প্রায় সবগুলোই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
এইচডব্লিউপিএল এর প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন আমান্দা ও সোনা। আমান্দা বলেন, এটা শুধু একটা দিবস নয় বরং উদযাপন। এই উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করেছে।
হেইওয়া রিকনসিলিয়েশন অব নিউইয়র্ক এর প্রেসিডেন্ট ড. রেবারেন্ড টিকে নাগাগাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে স্বাধীনতা শব্দটি মহাগুরুত্বপূর্ণ। ডা. দিকপাল খেসারি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রার্থনা করি, আমেরিকা এগিয়ে যাক।