ইমরান আনসারী
বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ স্যারকে মনের গহীন থেকে সম্মান জানাই এবং সম্মান করে যাবো। তিনি দেশের অনন্য সাধারণ নাগরিক।দেশের কোনো নাগরিক ভূল পথে হাঁটলে ধমকানোর যোগ্যতা তিনি রাখেন। দেশের প্রতি তাঁর অবদানই তাঁকে সেই জায়গায় বসিয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি পারতেন গণতন্ত্র বিরোধী জোটে গিয়ে মূকুটহীন সম্রাটে পরিণত হতে।কিন্তু তিনি তা করেননি।তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকেই ধারণ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় কোনো ধরণের ইস্যু ছাড়াই তিনি তারেক রহমানকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। এটি কিছুটা হলেও সন্দেহপ্রবণ এজেন্ডা। তারেক রহমান ও জামায়াত মুক্ত বাংলাদেশের রাজনীতি এটি একটি গ্লোবাল এজেন্ডা। এটি ক্ষমতাসীন দল দীর্ঘদিন বিনা ভোটে ক্ষমতায় না থাকলে বোঝা অত্যন্ত দূরহ ছিল। আমার প্রশ্ন তারেক রহমানকে নিয়ে জাফরুল্লাহ স্যার যতবার সমালোচনা করেছেন তিনি কি সরকার পক্ষের শীর্ষনেতা ও তাঁর পরিবারবর্গের ব্যাক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে ততবার সমালোচনা করেছেন? তারেক রহমান সাহেব দলের হাল ছেড়ে মাস্টার্সে ভর্তি হলেই কি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে?
দল পরিচালনায় তারেক রহমানের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিদেশে থাকার কারণে তিনি তার নেতাকর্মীদের সাথে মিশতে পারছেন না। কিন্তু দলের সব সিদ্ধান্ত কি উনী একাই নেন? দলীয় মনোনয়ন, দলীয় পদ পদবীর এমন পঞ্চাশটি উদাহরণ হাতে নাতে উপস্থাপন করতে পারবো যেখানে দলের সিনিয়র নেতারা পয়সার বিনিময়ে, এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারেক রহমানকে বুঝিয়ে পদ পদবী, মনোনয়ন জোগাড় করে দিয়েছেন। যখনই দু’এক জায়গায় তারেক রহমান সিনিয়র নেতাদের কথা শুনছেন না তখনই ওইসব নেতাদের প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
আমি মনে করি তারেক রহমানের কোনো গুন না থাকলেও তিনি তাঁর মাতার অবর্তমানে দলকে এখনো ঐক্যবদ্ধ রাখতে পেরেছেন। এটি তাঁর বড় সফলতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব থাকায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভুল থাকবে এটা স্বাভাবিক। এটা দুই দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাংলাদেশের শীর্ষ দুই দলের নেতা যেহেতু যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তারেক রহমান, সেহেতু তাদের কার্যক্রম আলোচনা, সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে আমরা এখন আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের সমালোচনা করতে পারি না।কিন্তু তারেক রহমানের সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু সেই সমালোচনার ক্ষেত্রে একটি নির্যাতিত বড় দলের শীর্ষ নেতার প্রতি আমরা কতটুকু সুবিচার করতে পেরেছি সেটি বড় বিষয়। তবে জাফরুল্লাহ স্যারকে সরাসরি আক্রমণ করার উদ্যোগকে আমি নিন্দা জানাই। এটি ফ্যাসিবাদি আচরণ।
ইমরান আনসারীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত