পেরুকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠার সুযোগ ছিল কলম্বিয়ার সামনে। তবে সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি কলম্বিয়া। পেরুর কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে তারা।
গতবারের ফাইনালিস্ট হয়েও পেরুর কোপা মিশন শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। সর্বশেষ ১২ ম্যাচের ফল হিসেবে করলেও তাদের জন্য পরিস্থিতিটা হয়ে দাঁড়ায় আরও অস্বস্তিকর। জয় মাত্র দুটিতে! অবশেষে কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে জয়ের দেখা পেয়েছে পেরু।
ম্যাচের শুরুতে পেরু লিড পায় ১৭ মিনিটে। বামপ্রান্ত থেকে ইতুন শট নিলে সেটি ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ফিরতি বলে জাল কাঁপিয়েছেন সের্হিয়ো পেনা। এর ফলে কোপায় সাত ম্যাচ পর গোল হজম করেছে কলম্বিয়া। তবে তারা সমতা ফিরিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে। মিগুয়েল বোরহাকে বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া। স্পট কিক থেকে গোল করেন বোরহা।
এর পর ম্যাচটা ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। আবার পেরুর বিপক্ষে কলম্বিয়ার পরিসংখ্যানটাও ছিল তাদেরই পক্ষে। শেষ ১০ ম্যাচে হারার নজির ছিল না কলম্বিয়ার। কিন্তু দলটির ডিফেন্ডার মিনার আত্মঘাতী গোলে শেষ হয়ে যায় সব। পেরুর কর্নার কিক থেকে আসা বল বুক দিয়ে ঠেকিয়েছিলেন তিনি। বল তখন জালে ঢুকতে গেলে কলম্বিয়া গোলকিপার ওসপিনা হাত দিয়ে ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই বলটি গোললাইন অতিক্রম করে ফেলেছিল! এই জয়ের পর পেরু ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এর পরেই কলম্বিয়ার অবস্থান। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
একই গ্রুপে নাটকীয় ড্র তুলে নিয়েছে ভেনিজুয়েলা। ইকুয়েডরের সঙ্গে ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলে। অথচ দু’বার এগিয়ে গিয়েছিল ইকুয়েডর। প্রেসিয়াদোর গোলে তারা ৩৯ মিনিটে লিড পেলে ভেনিজুয়েলা সমতা ফেরায় ৫১ মিনিটে। গোলটি করেন এদসন কাস্তিলো। ৭১ মিনিটে প্লাতার কল্যাণে স্কোর ২-১ করে ফেলেছিল ইকুয়েডর। কিন্তু রোনাল্ড এরনান্দেজের স্টপেজ টাইমের গোলে ম্যাচটা শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।