মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারত। শনিবার সিঙ্গেল ডোজের এই টিকার অনুমোদন দেয় দেশটি। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই দিন আগেই ভারতে জরুরি ভিত্তিতে নিজেদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিকার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এই ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে।’
এরইমধ্যে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন, স্পুটনিক ভি এবং ফাইজারের ভ্যাকসিন জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। শনিবার পঞ্চম টিকা হিসেবে অনুমোদন পেলো জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন।
জনসন অ্যান্ড জনসন-এর দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের টিকার ৮৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। এই টিকা নেওয়ার পরও যদি কারও করোনা হয়, তাহলে তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কিংবা কোভিডে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
স্বাভাবিকভাবেই ভারতে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে এই ভ্যাকসিনের বড় ধরনের একটি ভূমিকা থাকবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে দৈনিক টিকাকরণের হার আরও বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিনের যোগানও বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই সিঙ্গেল ডোজ টিকা তাৎপূর্যপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারতে এই টিকা পাঠানো হবে বায়োলজিক্যাল-ই নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদনের মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও জোরালো হবে। সূত্র: নিউজ ১৮।