গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত বোমা হামলার কারনে শিগগিরই রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সিএনএনকে মন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে রাফা ক্রসিং ও তার আশপাশে অন্তত ৪ বার বোমা হামলা হয়েছে। সর্বশেষ হামলা হয়েছে গতকাল; আমাদের কর্মীরা যখন ক্রসিংয়ের বিভিন্ন অংশ মেরামত করছিল তখন।’
‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে এই মুহূর্তে যদি রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়—সেক্ষেত্রে গাজায় যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। তাই সার্বিক বিবেচনায় আমরা এই ক্রসিং আপাতত না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ইসরায়েল ব্যতীত একমাত্র মিসরের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে গাজা উপত্যকার। বর্তমানে গাজার যে অবস্থা, তাতে মিসরের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গাজাবাসীর জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ।
কারণ গত এগার দিন ধরে এই সীমান্ত বন্ধ থাকা ও ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে গাজা উপত্যকা এবং এই উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা।
৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। দারিদ্র ও বেকারত্বপীড়িত এই ভূখণ্ডের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার সহায়তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসর প্রান্তে গত ১১ দিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে ত্রাণ, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা উপকরণবাহী শত শত ট্রাক। কিন্তু ক্রসিং বন্ধ থাকায় এসব উপকরণ পৌঁছাতে পারছে না গাজায়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য ঢেউ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিসর। কারণ এই ক্রসিং খুলে দিলে স্বাভাবিকভাবেই দলে দলে ফিলিস্তিনি মিসরে আশ্রয়ের জন্য ছুটবেন এবং মিসর এই মুহূর্তে এটি চাইছে না।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
চ্যানেল৭৮৬ এর নিউজ রুমে যোগাযোগ করতে ইমেইল করুন এই ঠিকানায়[email protected] । আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নম্বরে।