ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার। কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য চীনের সহায়তা নেবে তারা। আর এই বৃষ্টিপাত ঘটাতে পাকিস্তানকে খরচ করতে হবে ৪২ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার সমান।
অর্থ সংকটে ভোগা পাকিস্তানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পরিকল্পনাটি অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটস প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি) গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, এদিন পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে ওঠে আসে। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের বরাতে বার্তাসংস্থাটি আরও জানায়, প্রদেশের রাজধানীতে শুক্রবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫৬।
প্রত্যেক শীতেই পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাস দূষিত হয়ে পড়ে। আর দূষিত হওয়ার মাত্রা প্রতি বছর শুধু খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকারের মতো ভারতের দিল্লির স্থানীয় সরকারও কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটনোর কথা ভেবেছিল।
বর্ষাকাল শেষে ফসল তোলার পর দুই দেশের কৃষকরাই খড় পোড়ায়। খড় পোড়ানোর বিষয়টি বাতাস দূষিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানায়, ‘লাহোরের প্রচণ্ড কুয়াশাকে মোকাবিলায় পাঞ্জাব সরকার কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। যেটিতে খরচ পড়বে ৩৫ কোটি রুপি (৪২ লাখ ডলার)।
এ সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধান আবহাওয়াবিদ চৌধুরী আসলাম জানান, আগামী মাসে পাকিস্তানে কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অপর সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাঞ্জাব সরকার এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চেয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, পূর্বেও পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর পরীক্ষামূলক কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল।
ভারতের শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট বাইজুর তথ্য অনুযায়ী, মেঘে লবণ স্প্রে করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। সূত্র: পিটিআই।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।